এই পৃষ্ঠায় আপনি বাংলাদেশের ডাক্তারদের বিভিন্ন ডিগ্রি ও বিশেষায়ন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এখানে MBBS, BDS, MD, MS, FCPS, ডিপ্লোমা এবং বিদেশি ডিগ্রি সহ সকল প্রকার ডিগ্রির মানে, কাজের ক্ষেত্র এবং কখন কোন ডাক্তার দেখান উচিত তা step-by-step ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যদি আপনি সঠিক চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞ খুঁজছেন, তাহলে এই গাইডলাইনটি আপনার জন্য সহায়ক।
মানে: সাধারণ ডাক্তার (৫ বছর পড়াশোনা + ১ বছর ইন্টার্নশিপ শেষে BMDC নিবন্ধিত)।
কাজের ক্ষেত্র: সাধারণ রোগ, প্রাথমিক চিকিৎসা, প্রেসক্রিপশন, রোগীকে প্রয়োজন হলে স্পেশালিস্টের কাছে রেফার করা ইত্যাদি।
কখন দেখা উচিত: সর্দি-জ্বর, গ্যাস্ট্রিক, মাথাব্যথা, হালকা ইনজুরি ইত্যাদি।
মানে: দাঁতের ডাক্তার।
কাজের ক্ষেত্র: দাঁতের চিকিৎসা, স্কেলিং, ফিলিং, দাঁত তোলা, ব্রেস, মুখগহ্বরের সমস্যা ইত্যাদি।
কখন দেখা উচিত: দাঁতের ব্যথা, দাঁত ভাঙা, মাড়ির ইনফেকশন, দাঁতের সৌন্দর্যজনিত সমস্যা ইত্যাদি ।
মানে: নির্দিষ্ট বিষয়ে উচ্চতর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
কাজের ক্ষেত্র: মেডিসিন সম্পর্কিত বিশেষ শাখা – যেমন কার্ডিওলজি (হার্ট), নিউরোলজি (মস্তিষ্ক), নেফ্রোলজি (কিডনি) ইত্যাদি।
কখন দেখা উচিত: দীর্ঘমেয়াদি বা জটিল অভ্যন্তরীণ রোগ যেমন হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা ইত্যাদি।
মানে: সার্জারির বিশেষজ্ঞ।
কাজের ক্ষেত্র: অপারেশন প্রয়োজন এমন রোগ বা সমস্যা – যেমন অস্থি-সন্ধি, সিজারিয়ান, টিউমার, নিউরোসার্জারি ইত্যাদি।
কখন দেখা উচিত: যেসব রোগে অস্ত্রোপচার বা সার্জারি দরকার ইত্যাদি।
মানে: বাংলাদেশে সবচেয়ে সম্মানজনক উচ্চতর বিশেষায়ন (খুব কঠিন পরীক্ষা দিয়ে অর্জিত)।
কাজের ক্ষেত্র: কার্ডিওলজি, গাইনোকলজি, পেডিয়াট্রিক্স, ডার্মাটোলজি, সার্জারি সহ প্রায় সব বিশেষায়ন।
কখন দেখা উচিত: রোগ জটিল হয়ে গেলে বা উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন হলে।
মানে: নির্দিষ্ট বিষয়ে স্বল্পমেয়াদি বিশেষায়ন (১–২ বছর)।
কাজের ক্ষেত্র:
• DGO → গাইনোকলজি ও প্রসূতি
• DCH → শিশু চিকিৎসা
• DMU → আল্ট্রাসনোগ্রাফি , ইত্যাদি
কখন দেখা উচিত: নির্দিষ্ট সমস্যায় অভিজ্ঞ কিন্তু তুলনামূলক স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ।
মানে: যুক্তরাজ্যসহ বিদেশি কলেজ/ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রদত্ত আন্তর্জাতিক মানের বিশেষায়ন।
কাজের ক্ষেত্র: মেডিসিন, সার্জারি, হার্ট, লিভার, নিউরো ইত্যাদি।
কখন দেখা উচিত: জটিল ও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা প্রয়োজন হলে।